আগামী মাসে বিচার সম্ভব নয়

মোহাম্মদ তাজউদ্দিন24/06/20111275 রেটিং: 17

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জন্য বরাদ্দ দেওয়া অর্থ তারা নিজেদের প্রয়োজন মতো ব্যয় করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আইনমন্ত্রী ঘোষণা করলেও আগামী মাসে বিচার শুরু হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তদন্ত সংস্থা নিজে টাকা খরচের অনুমতি পেলেও এবার বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছর বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি, এবার দুই কোটি টাকা। তবে তদন্ত সংস্থা বাজেট বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাচ্ছে। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক ইকবাল খান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত সংস্থার জন্য বরাদ্দ দেওয়া অর্থ তারা প্রয়োজন মতো ব্যয় করতে পারবে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া তদন্ত সংস্থার সদস্যদের জন্য দেওয়া ১০০ শতাংশ বিশেষ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেট কোনো সমস্যা নয়, আরও লাগলে দেওয়া হবে।

Image

এ বিষয়ে তদন্ত সংস্থার সদস্য সানাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার জন্য দেওয়া বরাদ্দ আমাদের ব্যয় করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানতে পেরেছি। তবে থোক বরাদ্দ কমানোয় আমাদের কিছুটা অসুবিধা হয়ে গেল।’ আগামী মাসে বিচার নয়: তদন্ত সংস্থা সূত্র জানায়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে ১ আগস্ট। এরপর প্রসিকিউটররা যাচাই-বাছাই করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে পাঠাবেন। এর পরও ২১ দিন সময় লাগবে। সব মিলিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও বিচার শুরু করার জন্য প্রায় দুই মাস সময়ের প্রয়োজন। সূত্র জানায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থায় জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক বিষয় বাকি। এ ছাড়া অন্যদের ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়নি। প্রতিবেদন জমা তো আরও পরে। তদন্ত সংস্থা আশা করছে, ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ১৫ জনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে। তাই কোনোভাবেই আগামী মাসে (জুলাই) বিচার শুরু করা সম্ভব নয়। সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ জন মানবতাবিরোধী অপরাধীর তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে একজনকে দিয়ে বিচার শুরু হতে পারে। সানাউল হক বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ জনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে। তবে আগামী মাসে কোনোভাবেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা অন্য কারও বিচার শুরু করা সম্ভব নয়। কেননা, আমরা একটি মাত্র তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ প্রসঙ্গত, গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছিলেন, আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিচার শুরু হবে। অন্যদের বিচার আগস্টে শুরু করা যাবে। গত বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আনুষ্ঠানিক বিচার-প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। ওই দিন সাত সদস্যের তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনজন এখন পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি। একজনকে তদন্ত সংস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চার শূন্য পদে কোনো নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। সারা দেশে ২০টি ইউনিট: সারা দেশে বৃহত্তর জেলাগুলোতে তদন্ত সংস্থার ২০টি তদন্ত কার্যালয় খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধী থাকায় কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় এমন তদন্ত কার্যালয় খোলা হবে।

Image

Image



আপনার মতামত মতামত পাঠান

মতামত পাঠান

Close comment

* আপনার নাম:
* ই-মেইল::
টাইপিং সিলেক্ট করুন:
* মতামত:
Enter code here:
Security Code: