২৪ ব্যাটালিয়নের ১০৮ জনের সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড, খালাস ৯
মোহাম্মদ তাজউদ্দিন27/06/20116560
রেটিং:
4
বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত থাকার দায়ে পিলখানা সদর দপ্তরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ১০৮ জওয়ানের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং নয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পিলখানা দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৭-এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
মামলার এক নম্বর আসামি গোফরান মল্লিকের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৬৬৬ জন আসামির বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। আদালতে সভাপতিত্ব করেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম।
রায়ে ১০৮ জনের সর্বোচ্চ সাত বছর, নয়জনের ছয় বছর, আটজনের পাঁচ বছর, তিনজনের সাড়ে চার বছর, ২৬ জনের চার বছর, ৫৭ জনের সাড়ে তিন বছর, ৫২ জনের তিন বছর, ১৮ জনের আড়াই বছর, ৮২ জনের দুই বছর, ৫৫ জনের দেড় বছর, দুজনের এক বছর তিন মাস, ৬৭ জনের এক বছর, ৩৪ জনের নয় মাস, ৪৭ জনের ছয় মাস এবং ৮৯ জনের চার মাসের কারাদণ্ড হয়েছে।
আদালতের শুরুতে সভাপতি মামলার প্রসিকিউটর মেজর খান মোহাম্মাদ আলাউদ্দিনের কাছে আসামিদের সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তিনি আদালতকে জানান, দুজন আসামি অসুস্থ। বাকিরা সুস্থ আছেন। এক আসামি কিছু বলতে চাইলে আদালত বলেন, আজ কোনো কথা হবে না। আজ রায় ঘোষণার দিন।
এ সময় আদালত বলেন, এ মামলায় মোট ৬৬৭ জন আসামি ছিলেন। এঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হলে বর্তমানে মোট আসামি ৬৬৬ জন। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআর আইনে ১১টি মামলা করা হয়। এটি পিলখানার ঘটনায় করা মামলার চতুর্থ রায়।
সভাপতি আদালতে আরও জানান, মামলাটি আগে বিশেষ আদালত-৫-এ ছিল। বর্তমানে এটি বিশেষ আদালত-৭-এ এসেছে। মামলার ৪৮তম দিনে রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। মামলার ক্ষেত্রে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বিজিবির দুজন কর্মকর্তা আসামিদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন।
আদালত জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা সদর দপ্তরে বিদ্রোহের অন্যতম কমান্ড ফোর্স ছিল ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন। এই ব্যাটালিয়নের আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মতিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। ৩১ জন আসামি দোষ স্বীকার করেছেন। গত বছর সাক্ষীদের জবানবন্দি শুরু হয়। ৫৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের পক্ষে ৭৮ জন সাফাই সাক্ষী দেন। বিচারের ক্ষেত্রে আসামিদের আচরণ, মোবাইল ফোনের কললিস্ট, আসামিদের অতীত রেকর্ড, বিদ্রোহের সময় অবস্থান, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না, পদকপ্রাপ্তি, ঘটনার ভিডিও ও স্থির চিত্র—রায়ের সময় এসব বিবেচনা করা হয়েছে বলে আদালত জানান। আদালতের সভাপতি বলেন, যাঁরা দোষ স্বীকার করেছেন, তাঁরা অনুকম্পা পেয়েছেন।
আপনার মতামত মতামত পাঠান